নমানুষের ভূমিকাতেই লেখা আছেঃ
সাহিত্য হচ্ছে দর্পনের মতো, যেখানে দেশ এবং সমাজের সুস্পষ্ট বাস্তব প্রতিফলন ফুটে উঠে। এই প্রতিফলন যতটা সম্ভব পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব হচ্ছে লেখকের। কৃত্রিম অবয়ব দিয়ে আবৃত কোন লেখা পাঠক’কে সমাজের নিদারুন বাস্তবতার কাছে কখনই নিয়ে যেতে পারে না, বরং নিয়ে যায় অলীক কল্পনার এক রাজ্যে! অথচ দৈনিক পত্রিকাগুলিতে প্রতিদিন যেইসব ভয়ংকর কাহিনীগুলি ছাপা হয়, তার কোনটাই অবাস্তব স্বপ্নরাজ্য থেকে আসেনি। লেখালিখি শুরু থেকেই সামাজিক বিভিন্ন অসংগতি আর অবক্ষয়গুলি তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি সবসময়।
উপন্যাসের নামঃ নমানুষ
লেখার জনরাঃ গোয়েন্দা / থ্রীলার
লেখকঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ
প্রকাশনীঃ শব্দশিল্প প্রকাশনী
প্রচ্ছদঃ মোজাদ্দেদ আল ফাসানী জাদিদ
প্রকাশঃ একুশে বইমেলা ২০২২
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৫
মলাট মূল্যঃ ২৫০/-
আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অসংখ্য ঘটনার কথা আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনে থাকি। কখনো কখনো এসব ঘটনা এতই বর্বরোচিত, এতই নৃশংস, এতই পাশবিক, এতই দয়ামায়াহীন, সামাজিক মানুষ গুলোর মুখোশের অন্তরালে সমাজবহির্বুত কর্মকান্ডে ভরপুর থাকে যে এসব বাস্তব ঘটনাগুলো যখন আমাদের গোচরে আসে তখন সত্যিই আমাদের কল্পনা শক্তিও হার মানতে বাধ্য হয়।
যখন পড়তে আরম্ভ করবেন অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন চরিত্র ও ঘটনার পারস্পরিক যোগসূত্র মেলাতে কঠিন মনে হলেও হতে পারে, কিন্তু যতই ঘটনার গভীরে প্রবেশ করতে থাকবেন ততই লক্ষ করবেন নিপুণ চিত্রশিল্পীর হাতের রংতুলির ছোঁয়ায় যেমন চিত্রকর্ম সজীব হয়ে উঠবে তেমনি লেখকের লেখনীর জাদুকরী স্পর্শে সমাজদেহের কি স্পষ্ট ও কদর্য ছবিই না দেখতে পাবেন।
দক্ষ শল্যচিকিৎসকের মতই সমাজদেহের গভীর থেকে গভীরের ক্ষতগুলি কি অসীম মমতার সাথে তুলে আনা হয়েছে।
চারিদিকে শ্বাপদের পাশবিক উল্লাস আর সমস্ত অশুভ অন্ধকার যেন সবকিছু গ্রাস করে ফেলতে উদ্ধত ফনা তুলেছে। শুভ, মারুফ, রাহাতদের মত সৎ পুলিশ অফিসারদের কখনো কখনো আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে কখনোবা সমাজের ক্ষমতাবান রাগব বোয়লদের সীমাহীন অশুভ শক্তির দাপটে অসহায় মনে হলেও ন্যায়ের প্রতি তাদের ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা ও একান্ত সদিচ্ছার কারণে অশুভ শক্তির ক্ষমতার পাহাড় জমিনে লুটিয়ে পরতে বাধ্য হয়। অবশেষে সত্যেরই জয় হয়।