কমল আর সুরুজ যখন বালুচরে এসে থামল তখনো রাতের অংশ প্রকৃতিজুড়ে। চাঁদের কমে আসা আলো নদীর জলে লুকানো হীরার ঝিলিকে আলো-আঁধারী প্রকৃতির সাজকে আরও মহিমান্বিত করে তুলল। নিস্তব্ধ তীরে নদীর দুঃখরা শেষ বরষার দিন থেকে বিশ্রামে রয় সোনালী বালির ওতপ্রোত সঙ্গী হয়ে। পরের বরষায় নদী জল বেড়ে গেলে সেই দুঃখগুলো জলের সাথে মিশে চলে যাবে অন্যত্র অন্য কোনো তীরে। ঠায় নেবে সেখানে চেনা কিংবা অচেনা বালিঘরে। যতদিন বরষা বরণের আনুষ্ঠানিকতা নেই, যতদিন নদীতে জল না বাড়ে, যতদিনে নদী বক্ষ রুষ্ট হয়ে না উঠে ততদিন তাদের বিশ্রাম চেনা নদীর জঙ্গল ঘেঁষা তীরের বালির সংসারে। পুরোনো উদ্বেগ আগলে নতুন উন্মাদনাকে লালন করে এখানেই পড়ে রবে।
জলে ভেসে আসা কয়েকটি বড়সড় পরিত্যাক্ত পাটাতন তাদের চোখে পড়ল। তীরে এসে বালুচরে আটকে গেছে অনেকদিন হল। দুপুরের কমলা রাঙ্গা রোদে পুড়ে তপ্ত হয়ে আছে পাটাতনের শরীর। তারাও যেন বহুদিন ধরে এখানে বিশ্রামে আছে। জড়দেরও কী বিশ্রামের প্রয়োজন হয়?
কমল আর সুরুজ যখন বালুচরে এসে থামল তখনো রাতের অংশ প্রকৃতিজুড়ে। চাঁদের কমে আসা আলো নদীর জলে লুকানো হীরার ঝিলিকে আলো-আঁধারী প্রকৃতির সাজকে আরও মহিমান্বিত করে তুলল। নিস্তব্ধ তীরে নদীর দুঃখরা শেষ বরষার দিন থেকে বিশ্রামে রয় সোনালী বালির ওতপ্রোত সঙ্গী হয়ে। পরের বরষায় নদী জল বেড়ে গেলে সেই দুঃখগুলো জলের সাথে মিশে চলে যাবে অন্যত্র অন্য কোনো তীরে। ঠায় নেবে সেখানে চেনা কিংবা অচেনা বালিঘরে। যতদিন বরষা বরণের আনুষ্ঠানিকতা নেই, যতদিন নদীতে জল না বাড়ে, যতদিনে নদী বক্ষ রুষ্ট হয়ে না উঠে ততদিন তাদের বিশ্রাম চেনা নদীর জঙ্গল ঘেঁষা তীরের বালির সংসারে। পুরোনো উদ্বেগ আগলে নতুন উন্মাদনাকে লালন করে এখানেই পড়ে রবে।
জলে ভেসে আসা কয়েকটি বড়সড় পরিত্যাক্ত পাটাতন তাদের চোখে পড়ল। তীরে এসে বালুচরে আটকে গেছে অনেকদিন হল। দুপুরের কমলা রাঙ্গা রোদে পুড়ে তপ্ত হয়ে আছে পাটাতনের শরীর। তারাও যেন বহুদিন ধরে এখানে বিশ্রামে আছে। জড়দেরও কী বিশ্রামের প্রয়োজন হয়?
বই পরিচিতি:
- বই: অর্বাচীনের উপাখ্যান ও অন্যান্য
- লেখক: তকিব তৌফিক
- প্রকাশনী: অক্ষরবৃত্ত
- জনরা: সমকালীন গল্প
- পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮
- মলাট মূল্য: ২৮০ টাকা
প্রচ্ছদ:
